May 2, 2024, 6:03 pm

ভারতের তিন না অষ্ট্রেলিয়ার ছয়, ফয়সালা আহমেদাবাদে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিশ্বকাপের গ্র্যান্ড ফিনালে রোববার। সুপার সানডেতে সুপার লড়াই। এপাশে আসরের অপরাজিত দল ভারত। ওপাশে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। কে হবে ক্রিকেটের নতুন রাজা? আহমেদাবাদে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে খেলা। রাতের আলোয় ভারতের তিন, না অষ্ট্রেলিয়ার ছয়, সেই অংকের উত্তর মিলবে ব্যাট-বলের কঠিন লড়াই শেষে।

বাতাসে বারুদের গন্ধ। এপাশে কোহলি, রোহিত, শামি, বুমরা। আর ওপাশে ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড ওয়ার্নার, হ্যাজলউড, জাম্পা। রোববার বিশ্বকাপের মহারণ। ট্রফি জিততে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পণ। পিচ নিয়ে সবার আগ্রহ। প্রথম সেমিতে বিতর্কের চোরাস্রোত বয়ে যায়। ফাইনালেও খেলা হবে ব্যবহৃত পিচে। ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা হয়েছিল যেখানে। আহমেদাবাদে টিম ইন্ডিয়া হারায় পাকিস্তানকে।

উত্তেজনার আঁচ চারদিকে। অপরাজিত ভারতকে ফাইনালে হারানোর একাধিক পরিকল্পনা অস্ট্রেলিয়ার হাতে। দুই মহারথী বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা অসিদের গেম প্ল্যানে। কোহলি রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন চলতি বিশ্বকাপে। ১০ ম্যাচে ৭১১ রান তার ব্যাটে। দুরন্ত ফর্মে ভারতীয় কাপ্তান রোহিম শর্মা। ১০ ম্যাচে ৫৫০ রান তার সংগ্রহটা। সব পর পরিসংখ্যানই অসিদের ল্যাপটপে বিশ্লেষণে ব্যস্ত।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের প্রাণ ডেভিড ওয়ার্নার। চলতি আসরে মোট ৫২৮ রান তার। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুই বার। ম্যাক্সওয়েলে ব্যাটে যদি ঝড় উঠে তবে ইন্ডিয়ান বোলাররা চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। আছে মিচেল মার্শ, স্মিথ আর ম্যাকওয়েলের মতো দানব। যারা এক হাতেই পাল্টে দিতে পারেন যে কোন ম্যাচ। তবে এবারের আসরে অসিদের প্রতিটি ম্যাচ জিততে হয়েছে লড়াই করে। আর ভারত জিতেছে হেসে খেলে।

পাশার দান উল্টে দিচ্ছেন মোহাম্মদ শামি। লড়াইয়ের নতুন নাম হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। সাইডবেঞ্চ থেকে ক্লাসের ফার্স্ট বয়। চলতি বিশ্বকাপে শামির আগুন মানেই ভারতের সহজ জয়। সাথে আছেন বুমরা। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হতে পারেন তারা। আর ঘূর্ণিতে তো কুলদীপ আর বরীন্দ্র জাদেজার টার্ন এবারের আসরে ভুগিয়েছে প্রতিপক্ষের কমবেশি সব ব্যাটারকে।

আবার অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস অ্যাডাম জাম্পা। এই লেগস্পিনার উইকেট শিকার করেছেন ২২টা। তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করেছে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত-কোহলিদের সামলাতে হবে হ্যাজলউড-স্টার্কদের আগুনের গোলা। চেন্নাইয়ে প্রথম রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়াকে ছয় উইকেটে হারায় ভারত। এবারো স্বাগতিকেরা তৈরি করতে চায় জয়ের পথ। ভারতের তৃতীয় নাকি অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ, কারা হবে শ্রেষ্ঠ?

সেই ফয়সালার জন্য ফাইনালের আগে শান্ত থাকার চেষ্টা করছেন দুই দলপতি। শনিবার ফাইনালের আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে দুজনেই মিডিয়াকে খেলেছেন রক্ষণাত্মক কৌশলে। তাদের কাছে, রোববার দিনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দু’জনেই ভালো করে জানেন, ম্যাচ দিন যে দল শান্ত থেকে ভালো খেলতে পারবে, তারাই শেষ হাসি হাসবে। প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের দলকে নিয়েই ভাবতে চান দুজন।

রোহিত বলেন, নিঃসন্দেহে বিরাট ব্যাপার। এতদিন যে স্বপ্ন দেখেছি, সেটা পূরণ হওয়ার মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার আগে নিজেকে শান্ত রেখে ম্যাচে ফোকাস করাই উদ্দেশ্য। কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত। মাথা ঠাণ্ডা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায়। বিশ্বকাপ ফাইনাল রোজ খেলার সুযোগ মেলে না। আমি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখে বড় হয়েছি। তাই আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় মুহূর্ত।

কোচ রাহুল দ্রাবিড় আজীবন রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলেছেন। সেখানে রোহিতদের মানসিকতার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের দ্য ওয়াল, প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন। তারপর রোহিত বলেন, রাহুল ভাই আমাদের নিজের মতো করে খেলার স্বাধীনতা দিয়েছে। প্রয়োজনে সবসময় পাশে থেকেছে, পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ের অধরা স্বাদ পেতে মরিয়া। এবার ওনার জন্য আমাদের করে দেখাতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জনের দলে বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে ১২ জনের। তারমধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন অনেকে। কেউ কেউ আবার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলেও ছিলেন। ভারতের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। কিন্তু সেটা কোনও পার্থক্য গড়ে দেবে না বলেই দাবি ভারতের নেতার। রোহিত বলেন, আমার মতে এটা কোনও ব্যাপার নয়। আমাদেরও ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলে দু’জন আছে।

আগের দিনই জানা গিয়েছিল পিচ নিয়ে খুব একটা খুশি নন রোহিত। উইকেট প্রসঙ্গে ভারতের নেতা বলেন, পিচে হালকা ঘাস আছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উইকেট আরও শুকনো ছিলো। আমার মতে, পিচ একটু মন্থর হবে । রোববার উইকেট দেখে প্রথম একাদশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তাপমাত্রাও কিছুটা নেমেছে। জানি না শিশির পার্থক্য গড়ে দেবে কিনা। তবে, টস কোনও ফ্যাক্টর হবে না।

চলতি বিশ্বকাপে আহামরি খেলেনি অসিরা, কিন্তু সেটা মানতে নারাজ ভারত অধিনায়ক। রোহিত বলেন, অস্ট্রেলিয়া শেষ আটটার মধ্যে আটটাই জিতেছে। ওরা ভাল ক্রিকেট খেলছে। দুটো দলই ফাইনালে খেলার দাবিদার। আমরা জানি অস্ট্রেলিয়া কি করতে পারে। ওরা কমপ্লিট দল। আমরা নিজেদের কাজে ফোকাস করতে চাই। ওদের ফর্ম নিয়ে ভাবতে চাই না, নিজেদের পরিকল্পনায় মন দিতে চাই।

অন্যদিকে, প্যাট কামিন্সও মনে করেন এবারের আসরে লড়াই করে ফাইনালে আসার মধ্যেই তারা খুঁজে নিতে চাইছেন সব অনুপ্রেরণ। তিনি বলেন, এই পিচে খেলতে গেলে সাহসী হতে হবে। মন্থর বল, বাউন্সার, এগুলোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হবে। বলের পেছনে সব সময় তাড়া করলে হবে না। সেটা এখনও পর্যন্ত ভালভাবেই করতে পেরেছি। বিশেষত ইনিংসের শেষের দিকে বুদ্ধি খাটিয়েছি আমরা।

আহমেদাবাদের উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, মনে হয় না ওয়াংখেড়ে বা ভারতের অন্য মাঠের চেয়ে এখানে টস বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে চ্যালেঞ্জই আসুক, সেটা সামলাতে আমরা তৈরি। নিজেদের মতো পরিকল্পনা করেই নামব। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনটি ক্ষেত্রেই ভালো করতে হবে। আয়েশের কোন সুযোগ নেই। আর কোন কিছু অর্জন করতে হলে যে সেরাটা দিতে হয়, সেটা আমরা বেশ ভালো করেই জানি।

প্রতিপক্ষে নিয়ে কামিন্স বলেন, ভারতীয় দল সব বিভাগেই শক্তিশালী। তবে যাকে প্রথমদিকে খেলানো হয়নি, সেই মসোহম্মদ শামি দারুণ বল করছে। ডান এবং বাঁ হাতি, উভয়ের জন্যই শামি ক্লাস বোলার। তাই ওকে নিয়ে ভয় আছে। তবে ওদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক খেলেছি। আমাদের ব্যাটারদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাকে সামাল দেয়ার ক্ষমতা আমাদের ব্যাটারদের রয়েছে।

ভারতের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট-রোহিত নিয়েও আলাদা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কামিন্স বলেন, মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউডের ওপেনিং পার্টনারশিপ আমাদের দলের জন্য অ্যাডভান্টেজ। এই জুটি জ্বলে উঠলে পরপর কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট চলে আসবে। ওরা কী করতে পারে সেটা অনেক ম্যাচেই প্রমাণ করেছে। ওরা দু’জনই বড় ম্যাচের প্লেয়ার। কয়েকটি আইসিসি ফাইনালে খেলেছে। এবার দেখার কী হয়।

শনিবার দুপুর দুটো থেকে ফাইনালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারে অস্ট্রেলিয়া। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম লাগোয় মাঠে অনুশীলন করলেন ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্সরা।‌ শামির পাশাপাশি ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোরও বিশেষ প্রস্তুতি চলে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যে পিচে খেলা হয়েছিল, ফাইনালও একই পিচে হবে। উইকেট মন্থর, কিছুটা সুবিধা পায় স্পিনাররা। সেভাবেই প্রস্তুতি সারেন অসিরা।

কুলদীপ-জাদেজার ঘূর্ণি নিয়েও কিছুটা চিন্তায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কামিন্স বলেন, ওরা প্রতি ম্যাচেই পাঁচ জনকে দিয়ে ১০ ওভার করে বল করায় । মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনাররা ভাল বল করেছেন । কুলদীপ ও জাদেজা ছন্দে আছে। তাই ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। বিশ্বকাপের সব ম্যাচ জিতেছে । সমীহ করতেই হবে। আমরা তাদের ঘূর্ণি বল মোকাবেলাতেও যথেষ্ঠ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

বছর কুড়ি আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দিনটা ছিলো ২৩ মার্চ। সেই সময় রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে কোনও টিম হারাতে পারেনি। ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতও হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এবারের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে আবারও সম্মুখ সমরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। কুড়ি বছরের আগের অজি দলের সঙ্গে এবারের ভারতীয় টিমের বেশ মিল রয়েছে।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া । আর চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ভারত। ২০ বছর আগের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচও হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ভারতের মাটিতে চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচও হারেনি টিম ইন্ডিয়া। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে অস্ট্রেলিয়া। এবারের টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে ভারত।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া তৃতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার টিম ইন্ডিয়ার সামনে সুযোগ রয়েছে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলার। তবে সব মিলিয়ে অসিরা বিশ্বকাপ জিতেছে পাঁচবার। আর ভারত এবার জিতলে হবে তৃতীয়বার। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো, একই সুযোগ থাকছে এবারের স্বাগতিক ভারতের বিরুদ্ধেও।

মুখোমুখির দীর্ঘ পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে জয়ের পাল্লা ভারি অস্ট্রেলিয়ার দিকে। ১৫০ ওয়ানডেতে অজিদের ৮৩ জয়ের বিপরীতে ভারত জিতেছে ৫৭টিতে। বাকি ১০ ম্যাচ শেষ হয়েছে ফল ছাড়াই। তবে টাই হয়নি কোনো ম্যাচ। ৫৭ জয়ের মধ্যে ৩৩ ম্যাচে ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ভারত। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৪ ও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১০ জয় আছে আসরের স্বাগতিকদের ঝুলিতে।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাটিতে জিততে পেরেছে ৩৮ ম্যাচ। ৩৩ ম্যাচ ভারতের মাঠে এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১২ জয় আছে প্যাট কামিন্সদের। বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ১৩ ম্যাচে তাদের ৮ জয়ের বিপরীতে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের জয় ৫টিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর ৩৫২ ও ১২৫, অজিদের ৩৫৯ ও ১২৮ রান।

তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। ম্যাচ ডে’ই আসল কথা। মাঠে যারা নার্ভ শক্ত রেখে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ভালো করবে তারই হাসবে শেষ হাসি। শক্তিমত্তায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া সমানে সমান। ফাইনাল ম্যাচটি শেষ হওয়ার আগে হলফ করে বলা মুশকিল কে শিরোপা জিতবে। তবে, ঘরের মাঠে খেলার কারণে স্বাগতিক ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।

অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স কেরি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :